সামনের দিকে এগিয়ে চলেছিই তো চলেছি এই আমি
কিভাবে এতোদূর এলাম?

একটু একটু করে পেছনে যাই, মানে
স্মৃতিচারণ!
ভালো কাজ মন্দ কাজের তালিকা দেখে
হতাশ হয়ে থেমে গেলাম। কিন্তু
শুরু পর্যন্ত না পৌঁছে
নিজেকে চিনতে পারা যায়?
আজকের এই আমিকে কিভাবে চিনবো?
সামনের পথ আমার আর কতটুকুই বা বাকি আছে?
জানিনা। তারপর?

আবার পেছনে যেতে থাকলাম…
শুরু হয়েছিলো একটা বিশেষ পর্ব –
আমার সংসার, আমার স্ত্রী, আমার পুত্র
এমন স্মৃতি অনেকের নাও থাকতে পারে, তবে
আমার ছিলো।

আরেকটু পেছনে যেতে থাকলাম…
আমার স্ত্রী পুত্র কেউ নেই
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন তরুণ
স্টাইল করে ডান হাতে ঘড়ি পড়ে বারবার সময় দেখা
আরেকটু পেছনে যেতে থাকলাম…
হাফপ্যান্ট পড়া ছুটে চলা বালক!
আরেকটু পেছনে যেতে থাকলাম…
কিছু মনে করতে পারছিনা
পরবর্তীতে শোনা কথা –
মায়ের কোলে, বাবার কোলে, কোলে কোলে

তারও আগে…
মায়ের গর্ভে বেড়ে উঠছি
তারও আগে…
খালি চোখে দেখা যায় না এমন অবস্থা ছিল
লক্ষ কোটি শুক্রাণুর দৌড়ে জিতে গিয়েছিলাম
তারও আগে…
আমার বাবা মা’ই তো কাছাকাছি ছিলেন না
আমি অস্তিত্বহীন হয়ে গেলাম!
বাবা মা কাছাকাছি হলেন
অস্তিত্ব পাবার শুরু আমার
তারপর কোলে কোলে, এবং
এখন সময়ের সাথে ছুটে চলা এই আমি
পেছনের দিকে এই আমিকে খুঁজতে গিয়ে
নিজেকে অস্তিত্বহীন হিসেবে খুঁজে পেলাম।

এটাই আমি
এটাই তুমি
এটাই আমরা
ছিলাম অস্তিত্বহীন!

©আলম – ২৬ জুন ২০২৩ইং, বেলা ১০ টা ৩৯ মি.